টিভি অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর ‘আত্মহত্যা’র পর পলাতক তার কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফিকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শুক্রবার (৩ নভেম্বর)তাকে গ্রেফতার করা হয়। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীর এ তারিখ ধার্য করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে হিমুর মামা নাহিদ আক্তার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফিকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহার উত্তরা পশ্চিম থানা গতকাল আদালতে পাঠালে আদালত এজাহার গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন।
মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেছেন, জিয়াউদ্দিন রাফি হিমুর প্রেমিক।
ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মধ্যে রাত্রিযাপন করতেন। গত ১ নভেম্বর রাফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো (ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপ) আইডি বøক করেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাফি বাসায় এসে কলিং বেল বাজান। ওই বাসায় থাকা মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তার কক্ষে চলে যান। ৫টার দিকে রাফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, ‘হিমু আত্মহত্যা করেছে’।
মিহির হিমুর কক্ষে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। কক্ষে থাকা দুটি কাচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রাফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে চলে যান। মামলার এজাহারে বলা হয়, রাফি হিমুর বাসায় এসে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। প্ররোচনা দিয়ে তিনি বাথরুমে ঢোকেন। সেই ফাঁকে হিমু আত্মহত্যা করেন।