বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৩’ প্রকল্পে নিয়োজিত ১ লাখ ২৫ হাজার তালিকাকারী, গণনাকারী ও সুপারভাইজারকে সম্মানী দেওয়া হবে বিকাশে। অগ্রণী ব্যাংক ও বিকাশের সম্মিলিত উদ্যোগে সম্মানী বাবদ প্রকল্পের ৪০০ কোটি টাকা শুমারি কর্মীদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে সই করেন অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফজলুল করিম এবং বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ। এ সময় অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিনা আখতার, কাজী আব্দুর রহমান, মো. আবুল বাশার এবং বিকাশের ভাইস প্রেসিডেন্ট, গভর্নমেন্ট পার্টনারশিপ মেহমুদ আশিক ইকবালসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকাশের মাধ্যমে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শুমারিকর্মীরা সহজেই ও নিরাপদে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সম্মানীর অর্থ নিতে পারবেন এবং তা দিয়ে মোবাইল ফোনে রিচার্জ, সেন্ড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট পেমেন্ট এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ ও সঞ্চয় স্কিমসহ বিকাশের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, নিকটস্থ যেকোনো বিকাশ এজেন্ট থেকে তাঁদের সম্মানী বিনা খরচে ক্যাশ-আউটও করতে পারবেন তাঁরা। এর মাধ্যমে, অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৩ প্রকল্পের আর্থিক ব্যবস্থাপনাও আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে।
চুক্তির বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আব্দুর রহমান বলেন, ‘দেশের সরকারি যেকোনো ব্যাংকিং লেনদেনে অগ্রণী ব্যাংক একটি আস্থার নাম, আর মোবাইল ফোন আর্থিক সেবায় বিকাশ। সব কমপ্লায়েন্স মেনে দেশজুড়ে সব শুমারি কর্মীদের সম্মানী মুহূর্তেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই পার্টনারশিপ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্মানী-ভাতা দেওয়ার ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে, যা দৈনন্দিন লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনে দেবে।’
শুমারিকর্মীদের সম্মানী ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিতরণের বিষয়ে বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে কার্যকর করতে দেশজুড়ে সবার জন্য সহজ, নিরাপদ ও সময় সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। এমনি একটি কাজের উদ্যোগ নেওয়ায় এবং আমাদের এর অংশীদার হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ায় অগ্রণী ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই।’
অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন নির্ধারণ করতে চলতি বছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু করতে যাচ্ছে। এই শুমারির মাধ্যমে দেশের ছোট-বড়-মাঝারি আকারের কলকারখানায় বিনিয়োগের পরিমাণ, আয়-ব্যয়, শ্রমিকের সংখ্যাসহ নানা তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে।