অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক: আমিও ঋণ খেলাপিদের ধরতে চাই। ঋণ খেলাপিদের ধরতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তারা তো খুব শক্তিশালী তাদের ধরতে পারবেন কিনা, জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেখি পারি কি না।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি জুনেই মধ্যে পাওয়া যাবে। মোট ইসিএফ (এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি) ও ইইএফ (এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি) এর অধীনে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ডলার (আইএমএফ মুদ্রা এসডিআর ৭০ কোটি ৪৭ লাখ) এবং আরএসএফ (রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি) এর অধীনে ২২ কোটি ডলার (এসডিআর ১৬ কোটি ৬৮ লাখ) পাবে বাংলাদেশ। তিন খাত মিলিয়ে মোট এক দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হবে তৃতীয় কিস্তিতে। যা কিস্তিতে পূর্ব নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি। এর আগে দুই কিস্তি ছাড় দিয়েছে আইএমএফ। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করবে আইএমএফ। মোট ১২ কিস্তিতে ঋণ দিবে সংস্থাটি। যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে এ ঋণ প্রদাণ করবে আইএমএফ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডলারের প্রবাহ বাড়ানো যায়। এখানে অনেক নেগোসিয়েশন আছে। আমরা যেটা আশা করছি, এ সমস্যা সমাধান করতে পারবো। আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন আপনারা সঠিক পথে আছেন। আপনারা যে কাজ করছেন, সমস্যা সমাধানে সেটাতে আমাদের সমর্থন আছে।
জুনে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে কিনা, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, জুনেই তারা দেবে। সেখানে বাধা তো নেই।
তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও রাজস্ব আহরণ বাড়ানো প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমাদের অর্থনীতিতে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে, সেগুলো ওভারকাম করতে হবে এবং আগামী বাজেটে সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, তিনি বলেন, ‘সেটা তো আমি বলতে পারবো না। তবে পৃথিবীতে কোথাও সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হয় কি না প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ’
তিনি বলেন, ‘গভর্নর তো আলাদা কিছু না, গভর্নর গোটা সরকারেরই একটা অংশ। এর আগে ঊনি অর্থসচিব ছিলেন। কিছু পত্রিকায় বলা হয় ঊনি দায়িত্বজ্ঞানহীন, ওনার কোনো আইডিয়া নাই! এমনি এমনিই অর্থসচিব হয়েছেন। এখন তো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। উনি বলেছেন না, পৃথিবীতে কোথাও এভাবে ঢুকতে দেয় নাকি? সব খুলে দেয়? ওখানে ওদের লোক আছে, মুখপাত্র আছে। এগুলো আছে তো।’ তাহলে কি
সাংবাদিকরা আর বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে পারবেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা তো আমি বলতে পারবো না।’
অন্য দেশে যেকোনো তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। আমরা তো সেসব দেশের নাগরিক না, তাহলে সেখানকার রেফারেন্স কেন দেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।