নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে সুবাতাস লেগেছে। পরপর দুই মাস বেড়েছে রপ্তানি খাতের আয়। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আগের মাসে তা ১১ শতাংশ বেড়েছিল। তবে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি হলেও ফেব্রুয়ারি মাসের রপ্তানি আয় কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি।
ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় একক মাস হিসেবে আবারও পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এই মাসে ৫১৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে টানা তিন মাসে একক মাসে রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের রপ্তানি আয় আগের দুই মাসের চেয়ে কিছুটা কম। জানুয়ারিতে রেকর্ড ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য বিদেশে বিক্রি করা হয়েছিল। ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবিদেন অনুসারে, ফেব্রুয়ারিতে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫১৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৪৬৩ কোটি ডলারের। অর্থাৎ ৫৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারির প্রবৃদ্ধিতে ভর করে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে রপ্তানিও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়ে প্রায় পৌনে ৪ শতাংশ হয়েছে।
এ সময়ে মোট রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ২২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৭০৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এ হিসাবে বেড়েছে ১৩৭ কোটি ডলার বা ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য বলছে, উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি হলেও একক মাসের হিসাবে ফেব্রুয়ারিতে সরকার নির্ধারিত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। গত মাসে ৫২৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আয়ের পরিমাণ কম শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ।
আট মাসের হিসাবেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি রপ্তানিতে। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট ৬২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল বাংলাদেশ। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ১১১ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আয় এসেছে ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ডলার। এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ১৩৬ কোটি ১৮ লাখ ডলার ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ৫ শতাংশ বেশি।