নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ই-কমার্স একটি নতুন খাত। অল্পসময়ে এ খাতের সাফল্য ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করা গেলেও ব্যবসা পরিচালনায় বেশকিছু বাধার সম্মুখীন হন উদ্যোক্তারা। এ খাতের টেকসই উন্নয়নে কাস্টমস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অটোমেশন ও লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন জরুরি বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গ্লোবাল ই-কমার্সবিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ বিষয়ে আলোকপাত করেন উদ্যোক্তারা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবুল আলম বলেন, ই-কমার্স খাতের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবুও এ খাতের বাইরে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে কাস্টমস, এনবিআর, ভ্যাট-ট্যাক্স ইত্যাদির অটোমেশনসহ সঠিক নীতিমালা থাকলে দেশে ই-কমার্স খাত অনেকদূর এগিয়ে যাবে। ই-কমার্সের উন্নয়নে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে নীতি সহায়তা পেতে এফবিসিসিআই কাজ করবে। তবে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে যাতে ব্যবসায় আঘাত না আসে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করেন তিনি।
সভায় এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি ও ই-ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি শমী কায়সার বলেন, অনলাইনে ক্রস-বর্ডার ব্যবসার ক্ষেত্রে আমরা কিছু সমস্যা নিয়ে আটকে আছি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা গেলেও এর সমাধান এখনো পুরোপুরি সম্ভব হয়নি।
এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর বলেন, ডিজিটাল বা অনলাইন পেমেন্ট যত সহজ হবে, ই-কমার্স খাতের ততবেশি উন্নয়ন হবে। এ খাতের সঠিক গাইডলাইন প্রণয়নে লজিস্টিক বা কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দেন তিনি।
ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে শুধু বিদেশি পণ্যই নয়, দেশি পণ্য বিক্রি ও এর ব্র্যান্ডিং যাতে প্রাধান্য পায়, সেদিকে কাজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইর পরিচালক বিএম শোয়েব।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাজার গবেষণা, লজিস্টিক সুবিধার জন্য আন্তর্জাতিক হাব প্রস্তুতসহ দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বক্তারা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইর পরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রহমান, হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, শহিদুল হক মোল্লা, তপন কুমার মজুমদার, প্রীতি চক্রবর্তী, মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।