জাতীয়ভাবে সর্বোচ্চ ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে ওয়ালটন প্লাজা। ব্যবসায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডও (সিএসআর) পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’র আওতায় ২ শতাধিক কিস্তি ক্রেতা এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
‘আমরা সেরা ছিলাম, আমরা সেরা আছি, আমরা সেরা থাকবো’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হলো ওয়ালটন প্লাজার ‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট-২০২৪’। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন সদরদপ্তরে বেলুন উড়িয়ে ওয়ালটন প্লাজার দিনব্যাপী ‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট-২০২৪’ উদ্বোধন করা হয়।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম, ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, তাহমিনা আফরোজ তান্না ও নিশাত তাসনিম শুচি এবং ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হান।
সামিটে সারাদেশের ৭ শতাধিক ওয়ালটন প্লাজা থেকে ম্যানেজার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার, ক্রেডিট ম্যানেজারসহ বিভিন্ন স্তরের সহস্রাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন। তাঁদের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশে রূপ নেয় ওয়ালটন সদরদপ্তরের আঙ্গিনা।
‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট-২০২৪’ এ ওয়ালটন প্লাজার বিক্রয় প্রবৃদ্ধি এবং বিক্রয় কার্যক্রম আরও গতিশীল ও ত্বরান্বিত করতে ব্যবসায়িক কলাকৌশল নিয়ে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেন। সামিটে অংশ নেয়া ওয়ালটন প্লাজার সদস্যগণ বিক্রয় প্রবৃদ্ধি, সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড, সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সেরা থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বক্তারা জানান, দেশ ও মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক নানান কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে ওয়ালটন প্লাজা দেশের সেরা সেলস নেটওয়ার্কের সম্মান অর্জন করেছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রমে গতিশীলতা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারাবিশ্বে একমাত্র ওয়ালটন প্লাজা ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারী কোনো গ্রাহকের কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় মৃত্যু হলে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। পাশাপাশি মৃত কিস্তি ক্রেতার পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। ইতোমধ্যে ওয়ালটন প্লাজার দুই শতাধিক কিস্তি ক্রেতা এবং তাঁদের পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন। এছাড়াও দেশের স্বনামধন্য হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জীবনবিমা, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারীদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও মূল্যছাড়সহ বিশেষ সুবিধার রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের নতুন ‘এভিয়ান’ সিরিজের এয়ার কন্ডিশনার উদ্বোধন করা হয়। সুপার পাওয়ার সেভিং সিরিজের এই এসিতে ব্যবহৃত হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি। আছে স্মার্ট ডিজিটাল ডিসপ্লে; যেখানে টেম্পারেচরের পাশাপাশি কোন মুডে এসি চলছে তা দেখতে পাবেন গ্রাহকরা।
চ্যালেঞ্জার্স সামিটে ১৬টি ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন প্লাজার ১৯৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম এবং এমডি মোহাম্মদ রায়হান।
চ্যালেঞ্জারস সামিটে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, এস এম শোয়েব হোসেন নোবেল ও নজরুল ইসলাম সরকার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান জাকির প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ওয়ালটন প্লাজা’র দিনব্যাপী ‘চ্যালেঞ্জারস সামিট-২০২৪’।