নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সে সম্প্রতি যে রি-ব্যালেন্সিং করা হয়েছে, তা নিয়ম মেনেই করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশের প্রধান এই স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসইএক্স সূচকে বার্ষিক রি-ব্যালেন্সিং নিয়ে ওঠা বিতর্কের প্রেক্ষিতে স্টক এক্সচেঞ্জটি এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে।
সম্প্রতি আলোচিত সূচকটি রি-ব্যালেন্সিং করা হয়। তাতে সূচকে যুক্ত হয়েছে ১৬টি কোম্পানি, অন্যদিকে ৮৩টি কোম্পানি বাদ পড়েছে। এত বিশাল সংখ্যক কোম্পানির বাদ পড়ার প্রেক্ষিতে সূচকের রি-ব্যালেন্সিং নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এ ঘটনায় সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ডিএসই।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ডিএসইএক্স সূচকে বার্ষিক রি-ব্যালেন্সিং-এর বিষয়ে ডিএসই কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরের মতো এবারও অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথেই বার্ষিক রি-ব্যালেন্সিং এর কাজটি করেছে৷ যা এসএন্ডপি ইনডেক্স মেথোডলজি এবং বোর্ড কতৃর্ক অনুমোদিত নির্ধারিত পদ্ধতিতেই করা হয়েছে৷
এসএন্ডপি কর্তৃক প্রদও ইনডেক্স মেথডোলজি অনুযায়ী রি-ব্যালেন্সিং রেফারেন্স তারিখ অনুযায়ি ফ্লোট সমন্বিত মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ১০ কোটি টাকার উপর হতে হবে, তবে অন্যান্য যোগতা পুরণ করা সাপেক্ষে বর্তমান সুচক কোম্পানির ক্ষেত্রে তা ৭ কোটি হলেও চলবে৷ পাশাপাশি স্টকগুলোর ন্যূনতম ছয় মাসের দৈনিক গড় লেনদেনের মূল্য ১০ লাখ টাকা থাকতে হবে। যদি অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করে তবে বর্তমান সূচকের কোম্পানিগুলোর গড় লেনদেন ৭ লাখ টাকা হলেও স্টকটি সূচকে থাকবে। এছাড়াও সূচকের জন্য যোগ্য স্টকগুলোকে রি-ব্যালেন্সিং তারিখের তিনমাস আগের প্রতিমাসে স্বাভাবিক ট্রেডিং কার্যক্রমের অন্তত ৫০% ট্রেডিং দিবস থাকতে হবে।
উপরোল্লেোক্ষিত বিষয় বিবেচানা করে এসএন্ডপি ইনডেক্স মেথোডলজি অনুযায়ি ২০২৪ সালে ইনডেক্সে রি-ব্যালেন্সিং-এ পর ১৬টি নতুন কোম্পানি ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ৮৩টি কোম্পানি বাদ পড়ে যায়। যা ২০১৩ সাল থেকে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে৷ সুতরাং এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই৷
আরো উল্লেখ্য যে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ২০১৩ সাল থেকে এসএন্ডপি কর্তৃক প্রদও ইনডেক্স মেথোডোলজি-এর সূত্র অনুযায়ী একটি কমিটি রি-ব্যালেন্সিং এর কাজটি সঠিকভাবে করে আসছে৷