ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চন্দ্রকান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজশে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রায় তিন শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. কামরুজ্জামান মামুন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ওহিদুজ্জামান অপু, জমিদাতা আব্দুর রাজ্জাক সিকদার, চাকুরী প্রত্যাশী সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী মো. মনিরুজ্জামান, চাকুরী প্রত্যাশী রাশেদুজ্জামান পলাশসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী, ল্যাব সহকারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র মণ্ডল ও সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম চুন্নু খান মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিন মাস ধরে এ নিয়োগের তথ্য গোপন রাখা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর নিয়ম রয়েছে বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তিটি টানানো। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা করেননি। এ সময় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের অপসারণ ও গোপন নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিলের দাবি করেন এলাকাবাসী।
তারা আরও বলেন, গোপন নিয়োগ বাণিজ্য ফাঁস হওয়ায় প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র মণ্ডল কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এ অবৈধ নিয়োগে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি জড়িত রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, যথাযথ নিয়মে নিয়োগ পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগে কোন টাকা-পয়সা লেনদেন হয়নি। কেউই আমার আত্মীয় নয়।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম চুন্নু খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয়। যোগ্যতা অনুযায়ী ও সঠিক নিয়মে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।