নিরাপত্তার জন্য ‘হুমকি’ মনে করে গতকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ‘ভুলবশত’ তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, যে তিন জিম্মি নিজ সেনাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন, তারা সেনাদের দিকে আসছিলেন। তখন তাদেরকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে গুলি ছোড়া হয়।
পরবর্তীতে মরদেহের কাছে গিয়ে সন্দেহ হলে, সেগুলো ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, নিহতরা ইসরায়েলি। তাদের গত ৭ অক্টোবর হামাস গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
সেনাবাহিনী জিম্মিদের হত্যার কথা স্বীকার করার পরই; শুক্রবার রাতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন শত শত মানুষ। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখানে জড়ো হওয়া জিম্মিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাবি জানান, এখনো যারা গাজায় আটকে আছেন, তাদের উদ্ধারে যেন হামাসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হয়।
গত ২৪ নভেম্বর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। যা সাতদিন স্থায়ী ছিল। এই সাতদিনে ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হওয়া অনেককে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘প্রতিদিন, একজন জিম্মি মারা যাচ্ছে।’
ইতাই এসভিরস্কি নামের এক জিম্মির বোন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি ভয়ে মরে যাচ্ছি। আমরা এখনই চুক্তি (যুদ্ধবিরতি) চাই।’