নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আর কিছু করার নেই। তাদের সঙ্গে জনগণও নেই। কথা কিছু বলতে হয়, এজন্য মাঝে মাঝে কথামালার চাতুরী করে থাকে বিএনপি।
সোমবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যাচার চিরজীবন অপরিহার্য। এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারেরই ধারাবাহিকতা। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই, কর্মীরা হতাশ। এখন কিছু বলে কর্মীদের কাছে, পাবলিকের কাছে থাকতে চাচ্ছে তারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি সংসদে ভূমিকা রাখবে। বাইরে তাদের দলে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
মিয়ানমারে চলমান অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত সুরক্ষায় বাংলাদেশ প্রস্তুত। বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষায় সদা জাগ্রত। মিয়ানমারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এর ফলে সীমান্তে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকতে পারে। কাজেই আমরা এই বিষয়ে প্রস্তুত আছি।
শেখ হাসিনার সাহসিকতার প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিকিউরিটি ইস্যুতে জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ করা বাংলাদেশের জন্য সম্মানের। শেখ হাসিনা সেখানে গিয়ে গণহত্যার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন, যা তার সাহসিকতারই পরিচয়। অনেক সরকার প্রধানই এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন না।
জেলেনস্কির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের ফলে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ইটের ভাটা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এসব বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণে বন ও পরিবেশমন্ত্রী কাজ করছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু বাড়ছে, কিছু কমছে। কমার প্রবণতা বিদ্যমান। চলমান বিশ্ব সংকটের প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশে হবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। কথা হচ্ছে এই ব্যাপারে সরকার কোনো উদাসীনতা দেখিয়েছে কি না? সরকার এখানে সক্রিয়। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই। আমাদের যা করণীয় তা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।