বন্যা দূর্গতদের সহযোগিতায় কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা, পরিচালকদের ব্যক্তিগত অনুদান এবং সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের সমপরিমান অর্থ অনুদান প্রদান করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
এরমধ্যে ৫০ লাখ টাকা ‘প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে’ প্রদান এবং বাকী ৫০ লাখ আক্রান্ত এলাকার এনআরবিসি ব্যাংকের শাখা ও উপশাখাগুলোর মাধ্যমে সরাসরি ভুক্তভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এক সার্কুলেশন মেমোর প্রেক্ষিতে এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২৫ আগস্ট, ২০২৪, রোববার সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দাসের কাছে ৫০ লাখ টাকার পে-অর্ডার হস্তান্তর করেন এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক লকিয়ত উল্লাহ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো: রবিউল ইসলাম। এছাড়া ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ আক্রান্ত জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে ভুক্তভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রীও নগদ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া পরিচালকদের ব্যক্তিগত অনুদান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের সমপরিমান অর্থ দিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ, পানি বিতরণ করা হচ্ছে।
এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, গ্রাম-বাংলার গণমানুষের ব্যাংক ও ‘মানবিক ব্যাংক’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এনআরবিসি ব্যাংক কল্যাণমুখী কাজে সবসময় এগিয়ে থাকে। ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশের ১১টি জেলার লাখ লাখ মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এনআরবিসি ব্যাংক বন্ধু হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদেরকে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এনআরবিসি ব্যাংক।
তিনি আরও বলেন, সিএসআর তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি বন্যায় আক্রান্তদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং কৃষি ও অন্যান কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে স্বল্প সুদে বিনা জামানতে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ বৃদ্ধি করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রবাসী উদ্যোক্তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এনআরবিসি ব্যাংক। বর্তমানে ৭৫০টি শাখা-উপশাখাসহ সারাদেশের প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করছে এনআরবিসি ব্যাংক। ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে বিনা জামানতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।