নিজস্ব প্রতিবেদক: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সামর্থ্য থাকার পরেও ঋণের টাকা পরিশোধ না করলেই ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। পাশাপাশি এসব খেলাপিরা বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
এছাড়া খেলাপিমুক্ত হওয়ার পর কমপক্ষে পাঁচ বছর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে। সার্কুলারে এ ধরনের খেলাপি চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিল করার সুযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনার আলোকে কাউকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করার পর তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে ব্যাংক থেকে নোটিশ দিতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।