নিজস্ব প্রতিবেদক:একদিনে ভেঙে দেওয়া হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩টি ব্যাংকের পর্ষদ। ব্যাংক তিনটি হলো- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন পর্ষদে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মেঘনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন। পর্ষদের অন্য চারজন পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল মোল্লা, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলাম খলিফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের অধ্যাপক আবু হেনা রেজা হাসান এবং চার্টার্ড একাউন্টেন্ট মুঃ মাহমুদ হোসেন।
জানা গেছে, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকেও রয়েছে নানা ঋণ অনিয়ম। এসব অনিয়মের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। অপর চার পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্সের অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ এবং চার্টার্ড একাউন্টেন্ট শেখ জাহিদুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নামে-বেনামে ব্যাপক ঋণ দিয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক। বিতরণ করা অধিকাংশ ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। আর এসব ঋণের বেশিরভাগ নিয়েছে সমালোচিত এস আলমের গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গ্রুপটি ঋণের টাকা ফেরত না দেওয়ায় সংকটে পড়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পর্ষদও ভেঙে দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া পাঁচ পরিচালক হলেন— ইউসিবির উদ্যোক্ত পরিচালক শরীফ জহীল, ইউসিবির উদ্যোক্তা পরিচালক মো. তানভীর খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ আলী এবং চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ওবায়দুর রহমান।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তার পরিবার। গত ১৫ আগস্ট পর্যন্ত জাভেদের স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।
গত ১৬ আগস্ট রুখমিলাকে সরিয়ে জাভেদের বোন রোকসানা জামান চৌধুরীকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর আজ বিকেলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো স্বতন্ত্র পরিচালক অপরূপ চৌধুরীকে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আছে।