নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য বেশকিছু মানদণ্ড, লক্ষ্যমাত্রা ও সংস্কারের শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হচ্ছে রিজার্ভ সংরক্ষণ। এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ নাজুক। লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে রিজার্ভ সংরক্ষণ সম্ভব হয়নি এখন পর্যন্ত। এবারও রিজার্ভ সংরক্ষণের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা আরও কমানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের। আজ অনুষ্ঠেয় বৈঠকে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে দুই কিস্তিতে ঋণের অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী মাসের শুরুতে আইএমএফ’র তৃতীয় কিস্তি ছাড় করা হবে। কিস্তির এ অর্থ ছাড়ের আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমানোর এ অনুরোধ আইএমএফ মেনেও নিচ্ছে।
বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করা ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ঢাকায় আছে। দলটি অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করছে।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ থাকার কথা ২ হাজার ১১ কোটি ডলার। জুনের মধ্যে তা সংরক্ষণ করা কঠিন হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে আইএমএফ’র প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছে। একইসঙ্গে এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি নিয়ে আসার অনুরোধও জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
অনেক শর্ত পূরণ করার পথে থাকলেও ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে রিজার্ভের ত্রৈমাসিক কোনো লক্ষ্যমাত্রাই পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই সরকারের অনুরোধে আইএমএফ পরে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয়। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ৯২৭ কোটি ডলার রিজার্ভ থাকার কথা।