বাজারের কেমিক্যাল পণ্য ব্যাবহারের থেকে ত্বকের যত্নে আমরা সবসময় ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদানের উপরে ভরসা করে থাকি। আমরা অনেকেই মনে করি ঘরোয়া উপাদান সবই আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী কিন্তু এই ধারনা ভুল। কিছু কিছু উপাদান আপনার ত্বকের জন্যে ভালো ঠিকই, কিন্তু সব ঘরোয়া উপাদান ত্বকের জন্য ভালো না। তাই প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়ে সতর্ক থাকাই বাঞ্চনীয়!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন উপাদানটি মুখে ব্যবহার করবেন এবং কোনটি করবেন না? সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ, ডাঃ আঁচল পন্থ। এমনকী ত্বকের জন্যে উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করেছেন তিনি।
ত্বকের ট্যান তুলবেন যে উপায়ে
ত্বকের উপর থেকে কালচে ভাব মলিন করার জন্যে অনেকেই বেসনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন, কেউ আবার ভরসা রাখেন টমেটোর উপরে। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী?
ডাঃ পন্থ জানালেন, ত্বকের ট্যান ওঠাতে টমেটো ব্যবহার করাই শ্রেয়। এতে লাইসোপিন থাকে, যা আপনার ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে এবং জেল্লা বাড়ায়।
অন্যদিকে বেসন হল প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর, যা আপনার ত্বকের অস্বস্তির কারণও হয়ে উঠতে পারে! বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের তো বেশ ক্ষতি করতে পারে এই প্রাকৃতিক উপাদান।
জেল্লা বাড়াতে যা ব্যবহার করবেন
জেল্লাদার ত্বক পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রত্যেকেই। তবে এমন ত্বক পেতে ঠিক কোন ঘরোয়া উপাদানটি ব্যবহার করা উচিত, তা কি জানেন?
চিকিৎসকের মতে, ত্বকের জৌলুস বাড়াতে গোলাপ জল এবং মধুর ফেসপ্যাক ব্যবহার করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এটি আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা তো বাড়াবেই, একইসঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রাও ধরে রাখবে।
প্রসঙ্গত, জেল্লা বাড়াতে কফির ফেসপ্যাকেও অনেকে ভরসা রাখেন। তবে ডাঃ পন্থ জানালেন, আপনি চাইলে এই উপাদানটি শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যবহার করতেই পারেন, কিন্তু সরাসরি মুখের ত্বকে না লাগানোই ভালো!
ত্বকের এক্সফোলিয়েশনে যা ব্যবহার করবেন
ত্বক ভালো রাখার জন্যে নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় আপনার ত্বকের উপরের মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার হয়ে যাবে আর জেল্লাও বাড়বে হু হু করে! এক্ষেত্রে ওয়ালনাট স্ক্রাব ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এটি আপনার ত্বকের জন্যে ক্ষতিকারকও হয়ে উঠতে পারে, তা কি জানেন!
চিকিৎসক জানালেন, ওয়ালনাট আপনার ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট করতে পারে। তাই এর পরিবর্তে ব্যবহার করুন টক দই। এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করবে এবং জেল্লা বাড়াতেও সাহায্য করবে।